জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জবিশিস) কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৩ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে নির্বাচনে নিরংকুশ জয়ের লক্ষ্যে অটুট রয়েছেন বর্তমান শিক্ষক সমিতির কমিটি ও নীলদলের আইনুল-লুৎফর প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী বিভক্ত নীলদলের দুই দল থেকে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও অপর অংশে ভাঙণ ও আওয়ামী পন্থী অন্য একটি অংশের পক্ষে থাকা সহ নানা কারণে এগিয়ে আছেন বর্তমান শিক্ষক সমিতির এই প্যানেল।
অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন ও ড. নাফিস আহমদের নীল দলে সভাপতি পদে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান। এছাড়াও সহ-সভাপতি পদে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সরোয়ার আলম, কোষাধ্যক্ষ পদে ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মিরাজ হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ. এম. এম. গোলাম আদম লড়বেন। কোষাধ্যক্ষ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী বর্তমান শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
এছাড়াও এই প্যানেলে সদস্য পদে রয়েছেন বর্তমান শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দ আলম, বর্তমান শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান, ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আমিন, বর্তমান শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আবদুল মান্নান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মালেক, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দীপিকা মজুমদার, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুসরাত জাহান পান্না ও ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমন কুমার মজুমদার।
এই প্যানেলের নির্বাচনী অঙ্গীকারে উচ্চশিক্ষা, উচ্চপদে নিয়োগ, গবেষণা বিষয়ক, চাকরি বিষয়ক এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ইশতেহারে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উদ্যোগে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধি বাস্তবায়ন ও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ; প্রশাসনিক পদে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে নতুন নিয়োগ প্রদানসহ নতুন ক্যাম্পাসের কাজ ত্বরান্বিত করার কথা উল্লেখ রয়েছে।
এই অংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, ‘নীল দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব নির্বাচন করে এবং গঠনতন্ত্র অনুসারেই সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। একটা গ্রুপ যারা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, তারাই পরে বিভক্ত হয়ে গেছে। এখন দেখলাম ওখান থেকেও আবার বিভক্ত হয়েছে। এটা তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়। নীল দল ও শিক্ষক সমিতি আলাদা একটা বিষয়। নির্বাচন নিয়ে তারা কি ভাবছে সেটা তারাই ভালো বলতে পারবো। গতবারের নির্বাচনে আমরা ১২ টি পদে জয়ী হয়েছিলাম। আমরা কাজ করার চেষ্টা করেছি। শিক্ষকরা যদি সেটা মূল্যায়ন করেন তাহলে ১৫ টি পদেই আমরা জয় প্রত্যাশী।’